বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫, ০৪:২০ পূর্বাহ্ন

বিজ্ঞাপন :
সংবাদিক নিয়োগ! আপনি যদি সাংবাদিকতা এবং প্রতিবেদনে অভিজ্ঞ হন এবং ব্রেকিং নিউজ থেকে প্রাথমিক প্রতিবেদন তৈরি করার জন্য আগ্রহী হন, তবে সম্মানিত সংবাদ সংস্থা তে আপনার জন্য সুযোগ আছে। সংবাদিক মান্যতা এবং প্রতিবেদন ক্ষমতা সাথে জয়েন করুন।
সংবাদ শিরোনাম
সুস্থ সংস্কৃতির ধারা এগিয়ে নিতে কাজ করছে দেশীয় সাংস্কৃতিক সংসদ কুমিল্লা কটকবাজার সীমান্তে প্রায় ৩০ লক্ষ টাকার ভারতীয় বিভিন্ন প্রকার বাজি আটক কুমিল্লায় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা ও চিকিৎসক হৃদয় রঞ্জন দাস গ্রেফতার কুমিল্লা-১ আসনের সাবেক এমপি সুবিদ আলী ভূঁইয়ার স্ত্রীর জমি ক্রোকের নির্দেশ নারী দিবসে সামনে রেখে সম্মিলিত নারী ফোরামের সংবাদ সম্মেলন চাঁদপুরে মামা-মামির নির্যাতনের শিকার ভাগ্নি: পুরো শরীর জুড়ে আঘাতের চিহ্ন কুমিল্লা মহানগরী জামায়াতের যাকাত শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত কুমিল্লায় সাংবাদিকদের সম্মানে মহানগর ছাত্রশিবিরের ইফতার দোয়া মাহফিল নাটোরে টিসিবির পণ্য সংগ্রহের সময়ে সংঘর্ষ জয়পুরহাটে সাব-রেজিস্ট্রি অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভ

নোয়াখালীতে ৫ আগস্ট পুলিশ হত্যায় তিন আসামি গ্রেফতার

নিউজ ডেস্ক:

নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী থানার কনস্টেবল মো. ইব্রাহিম হত্যায় জড়িত তিন আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদের কাছ থেকে নিহত পুলিশ সদস্যের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়েছে। পরে হত্যার বিষয়টি স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন আসামিরা।

শনিবার (১২ অক্টোবর) নোয়াখালী পুলিশ সুপার মো. আব্দুল্লাহ আল ফারুক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

গ্রেফতাররা হলেন, সোনাইমুড়ী পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের মো. ছিদ্দিকের ছেলে নাইম হোসেন (২১), জয়াগ ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের ভাওরকোট গ্রামের আবদুল হামিদের ছেলে ইমাম হোসেন ইমন (২২) ও সোনাইমুড়ী পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের কৌশল্যারবাগ গ্রামের এক কিশোর (১৬)।

পুলিশ সুপার জানান, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) দুপুর ২টায় সোনাইমুড়ী বাইপাস বাসস্ট্যান্ড থেকে নাইম হোসেনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তার দেওয়া তথ্যমতে সন্ধ্যায় ভাওরকোট গ্রাম থেকে ইমাম হোসেন ইমনকে এবং রাতে বাইপাস সড়ক থেকে ওই কিশোরকে গ্রেফতার করা হয়।

তাদের কাছ থেকে নিহত কনস্টেবল মো. ইব্রাহিমের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। এছাড়া ঘটনার তিনদিন পর গত ৮ আগস্ট দুপুর ১টা ৫৮ মিনিটে আসামি ইমাম হোসেন ইমনের মেসেঞ্জারে ওমর ফারুককে পাঠানো ভয়েস মেসেজ পাওয়া যায়। যাতে আসামি ইমন পুলিশ হত্যার বিষয়টি স্বীকার করেন। এছাড়াও মোবাইলে আসামিদের একে অপরের কললিস্ট পাওয়া যায়।

পুলিশ সুপার আরও বলেন, শুক্রবার (১১ অক্টোবর) আসামিদেরকে ৫ আগস্ট থানায় আক্রমণ ও পুলিশ হত্যার মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হলে বিচারক আফসানা রুমির কাছে তারা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। পরে তাদের দুজনকে কারাগারে পাঠানো এবং অপ্রাপ্তবয়স্ককে হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন বিচারক।

গত ৫ আগস্ট আসামিদের নেতৃত্বে একদল সশস্ত্র জনতা সোনাইমুড়ী থানায় আক্রমণ করে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট করে। এসময় প্রাণভয়ে পালানোর সময় কনস্টেবল মো. ইব্রাহিমকে পিটিয়ে হত্যা করে মরদেহ রেললাইনে নিয়ে উন্মত্ত নৃত্য করে আসামিরা।

সংবাদটি শেয়ার করুন :

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত