বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫, ০১:৫২ অপরাহ্ন

বিজ্ঞাপন :
সংবাদিক নিয়োগ! আপনি যদি সাংবাদিকতা এবং প্রতিবেদনে অভিজ্ঞ হন এবং ব্রেকিং নিউজ থেকে প্রাথমিক প্রতিবেদন তৈরি করার জন্য আগ্রহী হন, তবে সম্মানিত সংবাদ সংস্থা তে আপনার জন্য সুযোগ আছে। সংবাদিক মান্যতা এবং প্রতিবেদন ক্ষমতা সাথে জয়েন করুন।
সংবাদ শিরোনাম
নারী দিবসে সামনে রেখে সম্মিলিত নারী ফোরামের সংবাদ সম্মেলন চাঁদপুরে মামা-মামির নির্যাতনের শিকার ভাগ্নি: পুরো শরীর জুড়ে আঘাতের চিহ্ন কুমিল্লা মহানগরী জামায়াতের যাকাত শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত কুমিল্লায় সাংবাদিকদের সম্মানে মহানগর ছাত্রশিবিরের ইফতার দোয়া মাহফিল নাটোরে টিসিবির পণ্য সংগ্রহের সময়ে সংঘর্ষ জয়পুরহাটে সাব-রেজিস্ট্রি অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভ মোটরসাইকেল চাপা দিয়ে দোকানে ঢুকে গেলো ট্রাক আট মাস ধরে বেতন না পেয়ে আর্থিক সংকটে চাঁদপুরের ২২৮ সিএইচসিপি খেলাধুলার মান উন্নয়ন ও কুমিল্লার ক্রীড়াঙ্গনের ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে হবে-জেলা ক্রীড়া সংস্থার কুমিল্লা শহরের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় ২৩ বীর সেনা ক্যাম্পের দৃঢ় পদক্ষেপ

তিতাসে জান্নাত হত্যা, ঘাতক মুন্নার ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন

মোঃ মাহফুজ আনোয়ার, কুমিল্লা জেলা প্রতিনিধি:

কুমিল্লার তিতাসে ফোন করে ডেকে ২ সন্তানের জননী গৃহবধূ জান্নাতুল ফেরদৌসকে (২৫) হত্যা করে মরদেহ ৬ টুকরো করে নদীতে ফেলে দেয় ঘাতক মুন্না। সেই ঘাতক মুন্নার ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে নিহতের পরিবার ও এলাকাবাসি।

শনিবার (১৬ নভেম্বর) বিকালে তিতাস উপজেলার জগতপুর ইউনিয়নের সাগরফেনা গ্রামে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধন  ও বিক্ষোভ সমাবেশে ঘাতক মুন্নাসহ অন্য সহযোগিদের ফাঁসির দাবি করে নিহতের আত্মীয় স্বজন ও স্থানীয় এলাকাবাসিরা।

চলতি বছরের ৫ সেপ্টেম্বর এ লোমহর্ষক হত্যার ঘটনা ঘটে।  এর আগে গত ১১ সেপ্টেম্বর নিহতের মা হালিমা বেগম বাদী হয়ে মুন্না ও তার মামা নাইমসহ ৭ জনকে আসামি করে তিতাস থানায় একটি অপহরণ মামলা করেন।

এর  আগে কুমিল্লা ডিবি পুলিশের অভিযানে প্রেমিক তারেক মাহবুব মুন্না গ্রেফতার হওয়ার পর জান্নাতকে হত্যার লোমহর্ষক বর্ণনা দেয়। ঘাতকের ১৬৪ ধারায় দেয়া জবানবন্দি ও মামলা সূত্রে জানা যায়, তিতাসের জগতপুর ইউনিয়নের সাগরফেনা গ্রামের জামাল সরকারের মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌসের সঙ্গে একই গ্রামের আব্দুল করিমের ছেলে তারেক মাহবুব মুন্নার পরকিয়া প্রেমের সম্পর্ক ছিলো।

বিষয়টি জানাজানি হলে ২০১৮ সালের দিকে জান্নাতের প্রথম সংসার ভেঙ্গে যায় এবং গত ২০২৩ সালে গ্রাম্য শালিসের মাধ্যমে মুন্নার সাথে ৫ লাখ টাকা দেনমোহরে বিয়ের দিন ঠিক হয়। কিন্তু মুন্না জান্নাতকে বিয়ে না করে গোপনে বিদেশ চলে যায় এবং চলতি বছরের আগস্টের দিকে মুন্না দেশে আসে এবং অন্যত্র বিয়ে করে ফেলে। বিষয়টি জান্নাতকে কষ্ট দিলে দু’জনের মধ্যে অন্তর্কলহ সৃষ্টি হয় এবং জান্নাতকে হত্যার পরিকল্পনা করে মুন্না। সেই অনুযায়ী সেপ্টেম্বর মাসের ৫ তারিখে জান্নাতকে বাসা থেকে ফোন করে ডেকে নিয়ে পার্শ্ববর্তী হোমনা উপজেলার মাথাভাঙ্গা এলাকা দিয়ে কাঁঠালিয়া নদীতে নিয়ে প্রথমে দেহ থেকে মাথা আলাদা করে এরপর হাত ও পা বিচ্ছিন্ন করে মোট ৬ টুকরো করে নদীতে ফেলে দেয়া হয়।

সংবাদটি শেয়ার করুন :

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত