মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫, ০৫:৫৯ অপরাহ্ন
নিউজ ডেস্ক:
কিশোরগঞ্জ শহরের নরসুন্দা নদীর তীরে অবস্থিত ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের ১১টি লোহার দানবাক্স শনিবার (৩০ নভেম্বর) সকাল ৭টায় খোলা হয়েছে। এতে পাওয়া গেছে রেকর্ড ২৯ বস্তা টাকা।
মসজিদ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য, মসজিদ কমপ্লেক্সের মাদরাসা ও এতিমখানার শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ প্রায় ৩৫০ জনের একটি দল এই টাকা গণনার কাজে অংশগ্রহণ করেছে। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও দানবাক্স খোলা কমিটির আহ্বায়ক মিজাবে রহমত এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি ফৌজিয়া খান এবং পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাসান চৌধুরীর উপস্থিতিতে দানবাক্সগুলো খোলা হয়। এ সময় নিরাপত্তার জন্য সেনাবাহিনী, পুলিশ এবং আনসার সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খান জানান, তিন মাস ১৪ দিন পর শনিবার সকালে ১১টি দানবাক্স খোলা হয়েছে। এতে ২৯ বস্তা টাকা পাওয়া গেছে। মসজিদের দোতলায় এনে টাকা গণনার কাজ শুরু হয়েছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, এই দফায় অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হবে।
টাকা গণনার কাজে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) এটিএম ফরহাদ চৌধুরী, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মহুয়া মমতাজ, রূপালী ব্যাংকের সহকারী মহাব্যবস্থাপক রফিকুল ইসলাম এবং সিবিএ নেতা আনোয়ার পারভেজসহ অনেকে অংশ নেন।
এর আগে, গত ১৭ আগস্ট পাগলা মসজিদের ১০টি দানবাক্স খোলা হয়েছিল। তখন তিন মাস ২৬ দিনে ৭ কোটি ২২ লাখ ১৩ হাজার ৪৬ টাকা পাওয়া গিয়েছিল। পাশাপাশি দানবাক্সে বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালংকারও পাওয়া গিয়েছিল।
এছাড়া, গত ২০ এপ্রিল পাগলা মসজিদের ৯টি দানবাক্স খোলা হয়েছিল। তখন রেকর্ড ৭ কোটি ৭৮ লাখ ৬৭ হাজার ৫৩৭ টাকা পাওয়া যায়, যা তখনকার সর্বোচ্চ রেকর্ড ছিল।